ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন মিজানুর রহমান আজহারী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
আমাদের অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী মাহফিলে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের পেকুয়ার বৃহত্তর সাবেক গুলদি তাফসীর ময়দানে অনুষ্ঠিত মাহফিলে রাত পৌনে ১০টার দিকে প্রধান মুফাসসিরের বক্তব্যে তিনি এই ঐক্যের আহ্বান জানান। তিনি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের বাণীর পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলেন, নতুন বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রোল মডেলের নজির দেখিয়েছে। চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ডের পরও মুসলিমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, মন্দিরে মাদরাসার ছাত্ররা পাহারা দিয়েছে, তা সত্ত্বেও প্রতিবেশী দেশ ভারত নানা গুজব প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে যা বন্ধুসুলভ আচরণ নয় বরং তারা নিজেদের নিয়ে না ভেবে প্রভুত্ব আচরণ দেখাচ্ছে।

এছাড়া তিনি ভয়েস অফ আমেরিকার জরিপের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশে এখন আগের চাইতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে এবং ভারত গুজব ছড়ানোতে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যের নজির সৃষ্টি করেছেন, ঠিক তেমনি এই সময়ে জাতীয় পরাশক্তি যেন দুর্বল ভাবতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী বিনির্মাণে কাজ করতে হবে। নয়তো আন্তর্জাতিক পরাশক্তি দেশগুলো দুর্বল ভেবে আমাদের কাছ থেকে ট্রানজিট অথবা সেন্টমার্টিন দাবি করে বসবে।

১২ ঘণ্টাব্যাপী তাফসির মাহফিলটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ১১টায় শেষ হয়। এর আগে সকাল থেকে আজহারীর আসার খবরে মানুষের ঢল নামে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজরের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই মাহফিলে যোগ দিতে বিকেলে তিনি বসুন্ধরা মালিকানাধীন হেলিকপ্টারে করে আসেন। তাফসির ময়দানস্থলে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন।

পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী বলেন, আজহারী হুজুরসহ জনপ্রিয় ইসলামি আলোচকদের আগমনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। হুজুর প্রায় ২ ঘণ্টা মতো বয়ান দিয়েছেন। এতো মানুষের উপস্থিতি ছিল যে অনুষ্ঠানস্থল থেকে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট কাজ করেনি। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আজহারী হুজুরের বয়ান শেষ হয়েছে। মাহফিলে কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিল।  নিরাপত্তায় যৌথ বাহিনী কাজ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন মিজানুর রহমান আজহারী

আপডেট সময় : ০৪:০০:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারী মাহফিলে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের পেকুয়ার বৃহত্তর সাবেক গুলদি তাফসীর ময়দানে অনুষ্ঠিত মাহফিলে রাত পৌনে ১০টার দিকে প্রধান মুফাসসিরের বক্তব্যে তিনি এই ঐক্যের আহ্বান জানান। তিনি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের বাণীর পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলেন, নতুন বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রোল মডেলের নজির দেখিয়েছে। চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ডের পরও মুসলিমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, মন্দিরে মাদরাসার ছাত্ররা পাহারা দিয়েছে, তা সত্ত্বেও প্রতিবেশী দেশ ভারত নানা গুজব প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে যা বন্ধুসুলভ আচরণ নয় বরং তারা নিজেদের নিয়ে না ভেবে প্রভুত্ব আচরণ দেখাচ্ছে।

এছাড়া তিনি ভয়েস অফ আমেরিকার জরিপের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশে এখন আগের চাইতে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে এবং ভারত গুজব ছড়ানোতে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যের নজির সৃষ্টি করেছেন, ঠিক তেমনি এই সময়ে জাতীয় পরাশক্তি যেন দুর্বল ভাবতে না পারে সেজন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী বিনির্মাণে কাজ করতে হবে। নয়তো আন্তর্জাতিক পরাশক্তি দেশগুলো দুর্বল ভেবে আমাদের কাছ থেকে ট্রানজিট অথবা সেন্টমার্টিন দাবি করে বসবে।

১২ ঘণ্টাব্যাপী তাফসির মাহফিলটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ১১টায় শেষ হয়। এর আগে সকাল থেকে আজহারীর আসার খবরে মানুষের ঢল নামে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজরের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই মাহফিলে যোগ দিতে বিকেলে তিনি বসুন্ধরা মালিকানাধীন হেলিকপ্টারে করে আসেন। তাফসির ময়দানস্থলে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আয়োজক কমিটি ও প্রশাসন।

পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী বলেন, আজহারী হুজুরসহ জনপ্রিয় ইসলামি আলোচকদের আগমনে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। হুজুর প্রায় ২ ঘণ্টা মতো বয়ান দিয়েছেন। এতো মানুষের উপস্থিতি ছিল যে অনুষ্ঠানস্থল থেকে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট কাজ করেনি। পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আজহারী হুজুরের বয়ান শেষ হয়েছে। মাহফিলে কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিল।  নিরাপত্তায় যৌথ বাহিনী কাজ করেছে।